দ্যা ডেইলি এজুখেইশনে বিজ্ঞাপন দিতে কল করুন

+88 01521 20 70 54 (Call for Ad)

শুভদা(১) | রিভিউ | কাহিনি সংক্ষেপ

উপন্যাস: শুভদা(১)

উপন্যাস: শুভদা(১)
লেখক:শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
শুভদা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস। 
উপন্যাসটি ১৯৩৮ সালের জুন মাসে লেখকের মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়।

প্রশ্ন হচ্ছে শুভদা কোন ধরনের চরিত্র হতে পারে। নিঃসন্দেহে একজন ছেলে মানুষ।ভেবেছিও তাই।আমার বন্ধুর নাম শুভ। আমি ডাকি শুভদা বলে।ইচ্ছা ছিল উপন্যাস টি পড়ে দেখব বন্ধুর নামে কেমন বলা হয়েছে। কি ভাবে উপস্থাপন করেছে অনিলাদেবী।কিন্তু একি!!! গল্পের ভেতরে গিয়ে দেখি হারাণবাবুর স্ত্রীর নাম শুভদা।অর্থাৎ শুভদা একজন মহিলা। এক কথায় শুভদা ছিলেন গৃহিণী।লেগে গেল খটকা।।মেলানো হলো না আমার বন্ধুর সাথে তার চরিত্র। যাই হোক প্রথম পার্ট শেষ করলাম।

চরিত্র: 

হারাণবাবু, তার স্ত্রী শুভদা,দুই মেয়ে বিধবা ললনা আর ছলনা,ছেলে মাধব,হারাণবাবুর বোন,ললনার প্রেমিক শারদাচরণ,তার বাবা হরমোহন বাবু,বিন্দুবাসিনী প্রমূখ।

মূলগল্প:

হারানের দুই মেয়ে। একজনের নাম ললনা, যে বিয়ের একমাসের মাথায় বিধবা হয়ে বাপের বাড়ি চলে এসেছে। আরেক মেয়ে ছলনা, যে খুবই চঞ্চল। হারানের কোমলমতি স্ত্রী শুভদা, অসুস্থ ছেলে মাধব আর এক বিধবা বোনকে নিয়ে তার সংসার। জুয়া আর গাঁজার প্রতি আসক্তি থাকার কারণে অভাব তার পরিবারের নিত্যসঙ্গী। সদানন্দ একজন আধপাগল কর্মঠ মানুষ। সে হয়তো ললনাকে ভালোবাসে কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারে না। সদানন্দ যথাসম্ভব ললনার পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করে। এদিকে বিয়ের আগে ললনার সাথে প্রেম ছিল শারদাচরণের । কিন্তু সমাজ ও তার লোভী বাবার রক্তচক্ষুর ভয়ে সে বিধবা ললনাকে বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করে। ললনা শারদাকে অনুরোধ করে, সে যেন তার ছোট বোন ছলনাকে বিয়ে করে। একদিন ললনাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। নদীর জলে ললনার কাপড় পেয়ে সবাই ধরে নেয় ললনা নদীতে ডুবে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাক্রমে নদীতে ভাসতে ভাসতে ললনা আশ্রয় পায় এক জমিদারের কাছে। জমিদার তাকে নিজের সাথে কলকাতা নিয়ে যায়। এদিকে ললনার শেষ ইচ্ছা পূরণ করার জন্য সদানন্দ তার সম্পত্তি বিক্রি করে শারদাচরণের সাথে ছলনার বিয়ে দেয়। জমিদারের নির্দেশে ললনা তার ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য শুভদার কাছে ৫০০ টাকা পাঠায়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। মাধব মারা গেছে। শুভদার কলকাতায় কোন আত্মীয় নেই। তারপরও সেখান থেকে ৫০০ টাকা পেয়ে সে টাকাগুলো না নিয়ে সদানন্দকে কলকাতায় পাঠায় টাকার মালিকের খোঁজ নিতে। সদানন্দ কলকাতা গিয়ে জানতে পারে ললনা বেঁচে আছে। ললনা লোভে পড়ে জমিদারের রক্ষিতা হয়ে গেছে এই ভুল বোঝে সে ভারাক্রান্ত মনে ললনার সাথে দেখা না করেই চলে আসে। বাড়িতে ফিরে সে শুভদাকে সব খুলে বলে। তারপর অনাথ সদানন্দ শুভদাকে "মা" বলে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করে। যেন অনাথ সদানন্দ ফিরে পায় তার মাকে আর শুভদা ফিরে পায় তার মৃত পুত্রকে।
গল্পটি খুবই আবেগপ্রবণ।

সেরা উক্তি: তোমাকে চিরদিন ভালোবেসে আসিয়াছি,এখনো ভালোবাসি।


লিখেছেন- 
নাসিম আহমেদ

শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। 

1 comment:

  1. Excellent! Amazing! I’ll bookmark your blog and take the feeds also. I’m happy to find so many useful info here in the post, we need work out more techniques in this regard, thanks for sharing. Prometh for sale

    ReplyDelete

Powered by Blogger.