দ্যা ডেইলি এজুখেইশনে বিজ্ঞাপন দিতে কল করুন

+88 01521 20 70 54 (Call for Ad)

ইমোশনাল মার্কেটিং | মুনির হাসান | বুক রিভিউ

ইমোশনাল মার্কেটিং | মুনির হাসান 
বইয়ের নাম: ইমোশনাল মার্কেটিং
লেখক: মুনির হাসান

ইমোশনাল মার্কেটিং বইটা সম্পর্কে একটি কথা বলি, যারা মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করছেন না তারাও এটি পড়ে বেশ মজা পাবেন কারণ বইটিতে বিভিন্ন ইন্টারেস্টিং ঘটনার বর্ণনা, দারুণ কিছু বিজ্ঞাপনের লিংক দেয়া আছে।

মুনির হাসান ইমোশনাল মার্কেটিং বইটিকে ৪টি পর্বে বিভক্ত করেছেন। 
১ম পর্বে মূলত প্রধান আলোচনা গুলো রয়েছে। এই অংশে, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনগুলো সম্পর্কে বলা হয়েছে। যেমন: হালাল সাবান, হিজাব রিফ্রেশ শ্যাম্পুর কথা। এছাড়াও টাইটান ঘড়ির 'Joy of Gifting' টাইটেলের একটি বিজ্ঞাপন যেখানে একজন শিক্ষককে অভিনব পদ্ধতিতে ঘড়ি গিফট করার কথা। তাছাড়াও বাটা কোম্পানির এনিমেশন টাইপ বিজ্ঞাপনের কথা, "হাটি হাটি পায়ে পায়ে দেখোনা" যেটি ওইসময় word of mouth এ পরিণত হয়েছিল যাকে অন্যকথায় Buzz Marketing ও বলা যায়।

২য় পর্বে রয়েছে ইমোজির আলোচনা। যদিও এই চাপ্টারটা পড়ার সময় অতটা আগ্রহ খুঁজে পাইনি। কারণ এ প্রজন্মের কাছে ইমুজি নতুন কিছু নয় কারণ ওরা প্রতিনিয়ত এটার ব্যবহার করছে। এটাতে এভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে যে,
আমি অপেক্ষা করতে পারব না
আমি অপেক্ষা করতে পারব না 😁
এই ২টা বাক্য পড়ার সময় দুইরকম অনুভূতি প্রকাশ পায়। এখানে এছাড়াও ইমেইলেও ইমুজি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে যা কিছুটা খটকা লেগেছে কারণ আমি যতদুর জানতাম, ইমেইলে ইমুজি ব্যবহার করতে হয় না।

যাইহোক, ৩য় পর্বে রয়েছে ৪টা কেইস স্টাডির কথা। ১মটি হলো, কোক এর, I'd like to buy the world a coke এই গানটি কতটা প্রভাব ফেলেছিলো। ২য়টি হলো, শেভ ক্লাবের একটি বিজ্ঞাপনের কথা এবং এটির প্রভাব।
৩য়টি হলো, Jetwest এর 'Crismass Miracle' নামক একটি ক্যাম্পেইনের কথা যেটি গ্রাহকের মধ্যে অভুতপূর্ণ সাড়া জাগিয়েছিলো। এবং সর্বশেষ টি হলো, বাংলাদেশের ক্রাউন সিমেন্টের যেখানে ছিলো, ইউর কান্ট্রি, মাই সিমেন্ট স্যার। যা প্রবাসীদের নিজ দেশের প্রতি আবেগ অনুভূতি গুলো প্রকাশ করেছিলো।

৪র্থ বা সর্বশেষ পর্বে রয়েছে, ফেসবুকে মার্কেটিং এর কথা। প্রথমেই পেইজে পেইড প্রমোশনে না গিয়ে নিজেদের নেটওয়ার্কের মধ্যে সেটি ছড়িয়ে দেয়া এমনভাবে যেন সেটি মার্কেটিং এর উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে সেটি যেন বোঝা না যায়।
সর্বোপরি, ভালোই লেগেছে... অন্তত রিডার্স ব্লক থেকে কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করেছে!!

লিখেছেন-
সুমাইয়া আহমেদ,
শিক্ষার্থী বিবিএ (মার্কেটিং ৪র্থ বর্ষ), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

No comments

Powered by Blogger.