মেমসাহেব | নিমাই ভট্টাচার্য | বুক রিভিউ
![]() |
মেমসাহেব | নিমাই ভট্টাচার্য | বুক রিভিউ |
বইয়ের নাম: মেমসাহেব
লেখক: নিমাই ভট্টাচার্য
প্রকাশিত: ১৯৬৮ সাল
"যারা কাছে আছে তারা কাছে থাক,
তারা তো পারে না জানিতে
তাহাদের চেয়ে তুমি কাছে আছ
আমার হৃদয়খানিতে"
উপন্যাসটির শুরু হয় উপর্যুক্ত কয়েকটি লাইন দিয়ে। ছোটবেলায় মা কিংবা দিদি কারোই স্নেহ পাননি এক রিপোর্টার বাচ্চু, যার লিখা দোলাবৌদিকে চিঠি নিয়ে একটি উপন্যাস যেখানে মুল কেন্দ্রবিন্দু 'মেমসাহেব'। একজন সামান্য মাইনে প্রাপ্ত রিপোর্টারের আস্তে আস্তে জীবনে বিশাল উন্নতি হওয়ার এক গল্প। যেখানে সেই রিপোর্টার মেমসাহেবের হাত ধরে এতদূর পর্যন্ত এগিয়ে যায়।
মেমসাহেব রিপোর্টারের জীবনে যখন আসে, তখন রিপোর্টারের বেতন ৫০ টাকা আর মেমসাহেবের তখন বেতন থাকে ২৫০ টাকা।
সেই সামান্য রিপোর্টারকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী করে তোলে মেমসাহেব তার অফুরান
ভালোবাসা দিয়ে। সামান্য মাইনে দিয়ে যার রোজ চলে যেতো, সেই ব্যাক্তিকে
বিভিন্নধর্মী কাজে আগ্রহসহ নতুন এক জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখায় মেমসাহেব।
রেলগাড়িতে প্রথম দেখা শ্যাম বর্ণের সেই মেয়েটিই এক সময় হয়ে উঠে রিপোর্টারের
জীবনের এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা। মেমসাহেবের মেজদির সাহায্যে সবকিছু আরো সহজ
হয়ে যায়। এতদিনের এত স্বপ্ন, দুজনের সবকিছু যেন সত্যি হওয়ার পালা।
ফাল্গুনে বিয়ে করে মেমসাহেবকে ঘরে তোলার কথা। আগে থেকেই এ জন্যে কত
পরিকল্পনা, গ্রীন পার্ক নামক স্থানে নতুন বাসা ঠিক করে যাবতীয় সব কিছু তৈরী
করে রাখা।
মেমসাহেবের শখের রকিং চেয়ার, অর্গান, হেয়ার-ড্রায়ার, বাগান
সব কিছু ঠিক করে রাখার পর কি হলো, তা জানতে হলে আপনাকে পড়তে হবে একদম শেষ
পর্যন্ত....
পরিশেষে, বইটি পড়ে যতটা আশা করেছিলাম হ্যাপি
এন্ডিং, পুরোটাই হতাশ করে দিলো লেখক। কারো যদি যেচে নিজের মন খারাপ করার
ইচ্ছে থাকে তাহলে অবশ্যই বইটি পড়বেন।
লিখেছেন-
সুমাইয়া আহমেদ,
শিক্ষার্থী বিবিএ (মার্কেটিং ৪র্থ বর্ষ), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষার্থী বিবিএ (মার্কেটিং ৪র্থ বর্ষ), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments