জবি শিক্ষার্থীদের বাসা ভাড়ার সংকট নিরসনে জবি ছাত্রলীগ
জবি শিক্ষার্থীদের বাসা ভাড়ার সংকট নিরসনে জবি ছাত্রলীগ
মহামারি করোনা ভাইরাসের শুরু থেকেই সংকট মোকাবেলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে শিক্ষার্থীদের নানা রকম সাহায্য সহযোগীতা করে যাচ্ছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ন অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষার্থী টিউশনি করে নিজ শিক্ষা ও থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে আসছে অনেক কষ্ট করে কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে তাদের চলার এক/মাত্র জীবিকার উৎস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার উপরে গত তিন মাস থেকে বাসা ভাড়া জমা হওয়ায় সবার উপরে এক অমানসিক যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়েছে।
এই সংকট উত্তরনে যৌক্তিক পন্থা খুঁজতে নৈতিক ও আদর্শিক জায়গা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সকল নেতা কর্মী এক সাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণসম্পাদক লেখক ভট্রাচার্যের আহবানে কাজ করে যাচ্ছে, তারই অংশ হিসাবে কাজকে তরান্বিত করতে প্রথমিকভাবে দুইটি পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে জবি ছাত্রলীগ। গত বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে জবি ভিসি স্যার ও প্রক্টর এর সাথে সরাসরি আবেদন করার জন্য গিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। এ সময় জবি ভিসি ও প্রক্টর ক্যাম্পাসে না আসায় ফোনে যোগাযোগ করে আবেদন করেন।
উক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়ে জবি ছাত্রলীগ একটি যৌক্তিক সমাধানের পথ খুঁজে বের করার আহ্বান জানায়। জবি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের বলা হয়–
আমরা মাননীয় ভিসি ড. মিজানুররহমান স্যারের কাছে আবেদন করেছি ছাত্র কল্যান ফান্ড থেকে সমস্যায় থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য ডিপামেন্ট ভিত্তিক আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য, স্যার আমাদের জানিয়েছেন ডিপার্টমেন্ট থেকে কিছু সহযোগিতা করা হয়েছে, আমরা বলেছি আরও বৃহৎআকারে ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক সমস্যায় থাকা শিক্ষার্থীদের একটা লিস্ট করার জন্য, উনি আমাদের জানিয়েছেন আর্থিক অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের একটা লিস্ট প্রসাশনের কাছে আছে, আমরা বলেছি তাহলে সেই লিস্টের আকার আরও বাড়ানোর জন্য, স্যার আমাদের জানিয়েছেন যারা যারা সমস্যায় আছে তাদেরকে ডিপার্ট্মেন্টের মাধ্যমে আবেদন কারার জন্য। আমরা আবেদন করেছি প্রয়োজনবোধে বিষয়টা সরকারের দৃষ্টিতে নেওয়া যায় কিনা দেখার জন্য।
এরপর আমরা জবি প্রক্টর মোস্তফা কামাল স্যারের সাথে কথা বলেছি, স্যারকে আমরা বলেছি ঢাকার যে সব এলাকায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা থাকে ওই সব এলাকায় কোন শিক্ষার্থীদের মালিকগন যাতে হয়রানি না করে তার জন্য উক্ত এলাকার থানায় সর্বোচ্চ দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা যাতে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করে তা দেখার জন্য। স্যার জানিয়েছেন অভিযোগ আসলে আবশ্যই শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করা হবে।
দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসবে জবি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলা হয়– যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিলো তাই বাড়িওয়ালাদের কাছে আমাদের আবেদন করতে হবে, নিজ থেকে সুন্দর ব্যবহার করে তাদের বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে যে, বন্ধে আমরা গ্রামের বাড়িতে থাকায় বাড়িওয়ালার বিদ্যুৎ খরচ, ওয়াসার খরচ হয় নাই বললেই চলে, তাই মানবিক দৃষ্টিতে আমাদের বাসা ভাড়া কমাইতে হবে। আবারও বলছি তা অবশ্যই ভালো আচরণের মাধ্যমে হতে হবে কারন আমাদের মনে রাখতে হবে সব কিছু স্বাভাবিক হলেও আমরা কিন্তু ভাড়া বাসায় থাকতে হবে তাই যদি সবাই বাড়িওয়ালাদের সাথে খারাপ আচারন করে চাপ দেই তাহলে তা পরবর্তীসময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আবাসিক সমস্যার জন্য আরও বেশি সংকট সৃষ্টি করবে, কেউ শিক্ষার্থী দেখলে ভাড়া দিতে চাইবে না। তাই প্রয়োজন বোধে আমরা যারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আছি তোমরা আমাদের সহযোগিতা চাইতে পারো বাড়িওয়াদের বোঝানোর জন্য। আমরা তোমাদের পাশে আছি এবং থাকবো সকল যৌক্তিক ও নৈতিকদাবির পক্ষে।
তোমাদের কোন অভিযোগ থাকলে আশরাফুল ইসলাম , সৈয়দ শাকিল, জামাল উদ্দিন, ইব্রাহিম ফরাজি, এইচ এম রিসাত, আব্দুল্লাহ শাহীন, শান্ত নাজমুল বাবু, নাহিদ পারভেজ ,শরীফুল ইসলাম, তারেক আজীজ, আল আমিন শেখ, আসাদুজ্জামান আসাদ, এস এম আকতার হোসাইন, মোঃ কামরুল হুসাইন, খালিদ হাসান, মহিউদ্দিন অনি, শাহবাজ হোসাইন; তোমাদের ছাত্রলীগের এই ভাই’রা সহ যার যার সাথে ছাত্রলীগের ভাইদের সাথে পরিচয় আছে তাদেরকে সমস্যার কথা বলবে তারা ইনশাআল্লাহ তোমাদের সকল যৌক্তিক ও নৈতিক দাবির পক্ষে থাকবে।
জবি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আরো বলা হয় সমস্যা সমাধানের পথে এক সাথে সবাই এগিয়ে আসি, সমাধানের পথ খুঁজি, কেউ অতি আবেগি হয়ে কারো রাজনৈতিক এজেন্ডার ফাঁদে না পড়ি।
No comments