ভালোবাসা মানেই জীবনযুদ্ধে পরাজিত হওয়া নয়!
ভালোবাসা মানেই শুধু হতাশা আর জীবনযুদ্ধে পরাজিত হওয়া নয়!
রেজাউল ইসলাম তামিম
সেই ছোট্টবেলা থেকেই আরমান ভাবতো যে, সে জীবনে ভালো কিছু করবে। কিন্তু ছোটবেলা থেকে সে তেমন ভালো ছাত্র ছিলোনা।কিন্তু ৯ম এর প্রথম দিকে সে যখন সভ্যসাচী নামের এক স্যারের কাছে গণিত কোচিং করছিলো ঠিক তখনই একটা মেয়ে দরজার সামনে দাড়িয়ে বলেছিলো"ম্যা আই কামিন স্যার"? আরমান তখন ম্যাথের ইকুয়েশনে ব্যাস্ত, এতোটা মনোযোগ দেয় নি, কিন্তু স্যার যখন বলতেছিলেন, কি সাজিয়া ১ম ক্লাস ১ম দিন আর ১০ মিনিট লেট! ১ম দিন হিসেবে কিছু বললাম না,আসো; তখন আরমান মেয়েটার দিকে তাকালো "কি যেন অন্যরকম এক ভালো লাগা, মেয়েটা যখন ক্লাসে ঢুকছিলো, বাতাসে চুলগুলো এলোমেলোভাবে দোল খাচ্ছিলো,,,,,আরমান হা,,,,করে সাজিয়ার দিকে তাকিয়ে ছিলো আর স্যার আরমানের মুখের দিকে মার্কারটি ছুড়ে মেরে বললেন মুখ বন্ধ করো নাহলে মাছি ঢুকবে। যাক, ক্লাস শেষে সে যখন বাসায় এলো, রাতে যখনই চোখটা একটু বোজার ট্রাই করে শুধুই ওই মেয়েটার চেহারা ভেসে উঠে,কোনোকিছু ভালো লাগে না আহা কি এক মায়াবী চেহারা। এভাবে শুধুমাত্র সাজিয়াকে দেখার জন্য কোচিং ক্লাসে যাওয়া বেড়ে যায় আর তারা কোচিং ক্লাসের মাধ্যমে বন্ধু হয় কথা হয়। সেই দিকে আবার সাজিয়ার জন্য আরমানের গণিতের প্রতিও টানটা বেড়ে যায়,শুধু গণিত না ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, এইগুলোর প্রতিও যেহেতু সে সাইন্সের স্টুডেন্ট ছিলো।এভাবে ২ মাস যেতেই একদিন পড়ন্ত বিকেলে আরমান সাজিয়াকে প্রপোজ করে বসে!আর সাজিয়াও তাকে রিজেক্ট করে দেয় এবং বলে আমি একটা ভালো স্টুডেন্ট, দেখতেও সুন্দর আর তুমি দেখতেও শ্যামলা আবার পড়ালেখায়ও তেমন ভালোও না আর অল্প কয়েকদিনের পরিচয় তাই সে রিজেক্ট করে দেয় আর আরমান ভাবে শুধুমাত্র আজ পড়ালেখায় ভালো না থাকার কারণে এই অবস্থা তাই সে সেই রিজেকশনের পর আরমান পড়াশোনার প্রতি একটু সিরিয়াস হলো ৯ম এর ফাইনালে সে ২য় হলো আবার মাধ্যমিকেও এ+ পেলো অপরদিকে সাজিয়াও। তাদের এলাকায় সবচেয়ে ভালো কলেজ ছিলো মাত্র একটি সাইন্সের জন্য আর তারাও দুজন সাইন্সের স্টুডেন্ট ছিলো তো ভাগ্যক্রমে তারা দুজনই একই কলেজে ভর্তি হলো। আবার সেই সোনালী দিনের বন্ধুত্ব বেড়ে উঠলো আর আবার সেই ভুল করলো আরমান কিন্তু সাজিয়া তাকে শর্ত দিয়ে বললো যে তুমি যদি বুয়েটে চান্স পাও তবে আমি ভাববো,আর তাই আরমান শুধু তার ভালোবাসা পাবার জন্য কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এইচএসসিতেও এ+ পেলো আর ভর্তিযুদ্ধেও সাফল্য অর্জন করলো।মজার ব্যাপার হলো বুয়েটে ১ম হয় আরমান আর ২য় সাজিয়া! আজ তারা স্বামী স্ত্রী আবার আরমান বুয়েটের সিভিল বিভাগের হেড আর সাজিয়া সাস্টের সিএসসির প্রফেসর!
বিঃদ্র- সমস্ত চরিত্র কাল্পনিক
No comments